লাইফস্টাইল
জেনে নিন আপনার ব্যবহারের মাস্ক কতটা নিরাপদ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো রোখার জন্যই মাস্ক পরার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তাঁরা রেসপিরেটর বা ভালভ্যুক্ত এন৯৫ মাস্ক ব্যবহারে না করে দিয়েছেন। কারণ এই মাস্ক সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে বড়ো ভূমিকা পালন করে।
কয়েক মাস আগে অতিমারির হাত থেকে বাঁচার আগে তিনটি মূলমন্ত্র মানুষকে পালন করতে বলা হয়েছিল। এক ফেস মাস্ক, দুই স্যানিটাইজার, তিন শারীরিক দূরত্ব।
কিন্তু এই ফেস মাস্ক নিয়ে বারে বারেই নানান মতনৈক্য উঠে এসেছে। কখনও বলা হয়েছে, কাপড়ের মাস্কই যথেষ্ট এই ভাইরাস আটকানোর জন্য, কখনও বা সার্জিক্যাল মাস্কই যথেষ্ট বলা হয়েছে। আবার কখনও বা এন৯৫ মাস্কেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে।
একটা সময় মাস্কের চাহিদা বাজারে প্রচুর থাকলেও তার জোগান যথেষ্ট ছিল না। এর পর এখন মাস্কের ছড়াছড়ি। মানুষকে নানান ধরনের মাস্ক পরতে দেখা যাচ্ছে। সঙ্গে এন৯৫ মাস্কও বাজারে এখন মিলছে। কিন্তু তার মধ্যে বেশির ভাগেই রয়েছে ফাইভারের ভেতরে প্ল্যাস্টিক সিট দিয়ে তৈরি একটি ভালভ্। এই ভালভ্-এর কাজ হল নিশ্বাসের বায়ুকে বাইরে আসতে দেওয়া ও বাইরের বাতাস ভেতরে যেতে দেওয়া। যাতে করে পরিধানকারীর নিশ্বাস নিতে সমস্যা না হয়।
কিন্তু এখানেই গলদ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পথেই সংক্রমণ বিনা বাধায় ছড়িয়ে পড়ছে। কারণ এই ভালভ্যুক্ত এন৯৫ মাস্ক যারা পরছে তারা ভাবছে তারা সুরক্ষিত। কারণ মাক্সের এন৯৫-এর এই বিশেষণটিই। কিন্তু তা নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই পথেই উপসর্গহীন ব্যক্তির কাছ থেকে দ্রুত গতিতে বেরিয়ে আসে ভাইরাস এবং অন্য জনের মাস্কের ওই পথেই বাতাসের সঙ্গে নিশ্বাসের পথে শরীরে প্রবেশ করে ভাইরাস।